সুব্রত মুখার্জী
গোলাপীর ভালোবাসায়, সুব্রতগোলাপী।

সত্যের সন্ধান করিতে হইলে সত্যানুরাগী হওয়া প্রয়োজন। সত্যের পথে চলিতে সকলের ইচ্ছা হইলেও সাহস অথবা সংকল্প সুদৃঢ় করিয়া সেই পথে অগ্রসর হওয়া সকলের সহজ সাধ্য বিষয় হইয়া উঠে না। পুরুষোত্তম শ্রী রাম পিতৃসত্য পালনের নিমিত্ত বনবাসী হইয়া ছিলেন। কাশীর রাজা হরিশচন্দ্র সত্য পালনের ক্ষেত্রে কর্তব্য করিতে শ্মশান মুখী হইয়া ছিলেন। যুগাবতার ভগবান শ্রী কৃষ্ণ সত্য ও ন্যায় প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্যে বীর অর্জুনের সারথীর ভূমিকায় অবতীর্ণ হইয়া ছিলেন।
সত্যের পথ নির্মল, পবিত্র, স্বর্গ মুখী। মূর্খ মনুষ্য সাময়িক আবেগ ও লোভের বশবর্তী হইয়া এই মহান সত্যের পথ হইতে বিচ্যূত হইয়া পড়ে এবং জীবনের শেষ মুহূর্তে সত্যের সম্মুখে দাঁড়াইয়া নিজের ত্রুটি উপলব্ধি করিয়া বেদনা গ্রস্ত চিত্তে মৃত্যুর মুখে পতিত হইয়া ঈশ্বরের অস্তিত্ব কে স্মরণ করিয়া থাকে।
The New World (Natun Prithibi)
দেশ নায়ক যখন সত্যের পথে অবস্থান করিয়া থাকেন তখন দেশের উন্নতির পথ উম্মুক্ত হইয়া থাকে আর যখন দেশ নায়ক ছল, কপট ইত্যাদি কে আশ্রয় করিয়া সহস্র অযুত দেশ বাসির হৃদয়ের দুঃখ কষ্ট কে অস্বীকার করিয়া শুধুমাত্র আপনার সুখ, সুবিধা গুলিকেই অগ্রাধিকার দিয়া থাকেন, অন্যায়ের পথেই অগ্রসর হইয়া সত্যের পথ হইতে সরিয়া যান তখন সেই দেশ ধীরে ধীরে ধ্বংসের অন্ধকারে নিমজ্জিত হইবার উপক্রম করে।
দেশ নায়কের স্বপ্ন সত্যের পথেই প্রতিষ্ঠিত হইতে পারে। নায়কের স্বপ্ন কেমন হইতে পারে এবং তাহার অভিমুখ ও প্রতিফলন যে প্রকারে ঘটিতে পারে তাহার স্বরূপ উন্মোচিত হইবে একমাত্র সত্যের পথেই।
ঐতিহাসিক অনুভব!
শুনিয়াছি বীরভোগ্যা বসুন্ধরা! কিন্তু অনেক প্রচেষ্টার পরেও প্রকৃত বীরের সংজ্ঞা খুঁজিয়া পাইনাই। শৈশব কাল হইতে যে চরিত্র গুলিকে গুণী বলিয়া মানিয়াছি, যাঁহারা বহুবিধ মানবিক এমনকি ঐশ্বরিক গুণের অধিকারী হইয়া মানব প্রেমের কথা বলিয়াছেন, সমগ্র জীবন ধরিয়া মানব জাতির সেবা করিয়াছেন, দেশের স্বার্থে সমাজের কারণে নিজের প্রাণ, সম্মান সমস্ত কিছু উৎসর্গ করিয়াছেন, জীবন ভর সৎ, সদাচারী, নিঃস্বার্থ থাকিয়া সমাজের হিত করিয়াছেন, ন্যায়ের জন্য সর্বদাই অন্যায়ের বিপরীতে অবস্থান করিয়াছেন, বিশাল ও সুমহান কর্মকাণ্ডের প্রবাহে নিরন্তর সংগ্রাম করিয়া দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষায় সচেষ্ট থাকিয়া আরও অনেক প্রকার উপলব্ধির বৈচিত্র্যে প্রকৃত ও দৃঢ় রূপে প্রতিষ্ঠা পাইয়াছেন তাঁহারা কি বীর হইবেন? সেই মহান প্রাণ গুলি আজ আমি কোথাও দেখিতে পাইনা। হইতে পারে আমার দৃষ্টি ক্ষীণ! পশুকুলের ন্যায় আয়তন, আচরণ কিম্বা হিংস্র প্রকৃতি রূপী ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ড আহ্বান করিয়া সমগ্র জগৎ সংসার কে মৃত্যুমুখী করিয়া কেবলমাত্র নিজের সুখের ও প্রতিষ্ঠার প্রশংসা ধ্বনি শুনিয়া প্রসন্ন চিত্ত মানব রূপী দানব কে আমি কী প্রকারে বীর বলিয়া সম্বোধন করিব? বসুন্ধরা এই প্রকার নরাধমের ভোগ্যা হইয়া উঠিলে সৃষ্টির উৎসই তো বিলুপ্ত হইয়া যাইবে। বিশ্ব ব্রহ্মাণ্ডের এক অতি সাধারণ, ক্ষুদ্র প্রাণের অস্তিত্ব লইয়াও সেই অনাচার, অত্যাচার, অন্যায় কে আমি ঐতিহাসিক অনুভব বলিব কী করিয়া?
সুখের সময়!
লক্ষ কোটি মহান প্রাণ যাঁহারা রক্ত ঝরাইয়া, নিদারুণ কষ্ট স্বীকার করিয়া সর্বস্ব উজাড় করিয়া স্বাধীনতা আনিল তাঁহারা যন্ত্রনার অনুভবে বিলীন হইল, যাহারা পরবর্তী কালে সেই বিষয়ে জানিল ও পড়িল তাহারা সেই মহান কর্মের গুরুত্ব স্মরণ করিয়া গভীর রূপে চিন্তিত হইলো আর যাহারা সেই অসম্ভব কর্মযজ্ঞে কোনোদিনও বিন্দুমাত্র যোগদান করিলনা তাহারা স্বাধীনতার আড়ম্বরে নিজ নিজ রীতিতে প্রবল উচ্ছ্বাস ও প্রকট বিলাস পূর্ণ উপাদানে সুখের সময়ে বাঁধন হারা হইয়া গেলো!
শার্দূল সন্তান!
জন্মলগ্ন হইতেই মনুষ্য প্রাণের মধ্যে জ্ঞানের ভাব উন্মোচিত হয়না। ধীরে ধীরে সেই প্রাণ বিকশিত হইতে থাকে এবং পারিপার্শ্বিক চেতনা বলয়ে আবর্তিত হইতে হইতে প্রকৃত শিক্ষা গ্রহণ করিয়া পরিপূর্ণ হইয়া উঠে। মনুষ্য জীবন মনুষ্য অনুভবের বাহিরে অপূর্ণ! প্রকৃত পূর্ণ রূপী মনুষ্য জীবন কে তাহার কর্তব্য স্মরণ করাইয়া দিতে হয়না। একটি বারের নিমিত্তও বলিবার প্ৰয়োজন পড়েনা তাহাকে কখন কী কী করিতে হইবে যাহাতে মানব সমাজের কল্যাণ হইবে। গৌতম বুদ্ধ সেই প্রাচুর্যের মধ্যেও ত্যাগ খুঁজিয়া পাইয়াছিলেন। প্রকৃত মানব সন্তানের চারিত্রিক গুণাবলী এইরকমই হইয়া থাকে কিন্তু যে জীবন নিজেকে শার্দূল সন্তান বলিতে গর্বিত হইয়া থাকে তাহার মধ্যে এই ভাব কোনোদিনও আসিবেনা। ভোগ ঐশ্বর্য্যের মধ্যে দিন রাত সর্বক্ষণ বিরাজ করিয়া, ক্ষমতার শীর্ষে অধিষ্ঠান করিয়া, লক্ষ কোটি অর্থ নিজের সুখের জন্য খরচ করিয়া ত্যাগী হওয়া সম্ভব নহে। প্রকৃত মনুষ্য জীবনে ত্যাগের প্রতীক কখনই শার্দূল সন্তান এর বোধগম্য হইবেনা।
সমস্যার সূত্রপাত!
সুশিক্ষার অভাব যখনই ঘটিবে সমাজে সমস্যার বৃদ্ধি হইবেই। একসময় শিক্ষা অর্থে সুশিক্ষাই বুঝাইত কিন্তু কালের বিবর্তনে এখন শিক্ষার প্রসার ঘটিয়াছে এবং গুরুত্ব কমিয়াছে। অতীতে শিক্ষা গুরু হইতে শিক্ষার্থী সকলের মধ্যেই সুগভীর নিষ্ঠা পরিলক্ষিত হইত। ধর্মের ভেদ সেই যুগেও ছিল কিন্তু সংস্কৃতির মেল বন্ধন অটুট ছিল।অত্যাচার , অন্যায় ছিল কিন্তু জ্ঞানী দের সহাবস্থান ও বিশেষ ভাবে উপস্থিত ছিল। আজ যেমন ধনীদের সহাবস্থান, দরিদ্রদের সহাবস্থান দৃশ্যমান হইয়া থাকে সেই যুগে তাহার কিঞ্চিৎ ব্যতিক্রম ঘটিত। জ্ঞানের তপস্যা ধনের আকাঙ্ক্ষা অপেক্ষা বৃহত্তর থাকিত। মহাভারতে বিদুর গুণের অধিকারী হইয়া মহামন্ত্রীর আসন অলংকৃত করিয়াছিলেন।আকবরের রাজসভায় তানসেন সমাদৃত হইয়াছিলেন। নেতাজীর ব্যথা হাবিব সাহেব অনুধাবন করিয়াছিলেন। আমার ধর্ম ই শ্রেষ্ঠ এই ধারণা ভ্রান্ত নহে যতক্ষণ আমি না বলিতেছি যে তোমার ধর্ম নিকৃষ্ট। নিজ ধর্মের গ্রন্থ কত জন পড়িয়াছেন এবং তাহার কতজন হৃদয়ঙ্গম করিতে সমর্থ হইয়াছেন? অপর ধর্মের কথা নাহয় ছাড়িয়াই দিলাম। জীবনে কত জন কতবার নিজ ধর্মের সার কথা শুনিয়া, পড়িয়া, বুঝিয়া, তাহাকে তাহার জীবনে ব্যবহারে কাজে লাগাইয়াছেন? আমি যখন নিজেই মূর্খ, নিজেই অন্ধ, নিজেই দাম্ভিক আমি অন্যের ত্রুটি কী প্রকারে বুঝিবো?এইখানেই সমস্যার সূত্রপাত!
বাতি ও স্তম্ভ!
মানব সভ্যতায় একটি বড়ো সমস্যা হইলো সমস্যার কথাগুলি উম্মুক্ত করা।যদি কাহাকেও সমস্যার কথা বলা হইয়া থাকে সে, সেই সমস্যার কথা শুনিবা মাত্র সমস্যার মধ্যে নিজেকে নিমজ্জিত হইবার আশঙ্কায় সমস্যার প্রকৃতিকে বহুগুণে বৃদ্ধি করিয়া থাকে আবার সেই ব্যক্তি যদি উক্ত সমস্যায় ভাসমান থাকিবার সংকল্প করে তাহা হইলে সে সেই সমস্যার প্রবাহে ভাসিয়া যাইতে থাকে।এই প্রকার উভয় সংকটের মধ্যে মনুষ্য হৃদয় দ্বিধাবিভক্ত হইতে হইতে প্রকৃত সমস্যার গতি ও আকারকে বহুগুণে ত্বরান্বিত করিয়া তুলে।
বর্তমান সময়ে এমন হৃদয় দুর্লভ যাহার নিকটে সমস্যার কথা বলিলে সমস্যাটির আর বৃদ্ধি হইবেনা! এমন কোনো ক্ষেত্র নাই যেইখানে মানব হৃদয় সমস্যার কথা বলিবা মাত্র সুষ্ঠু সমাধান পাইবে।স্তম্ভের উপরে বাতি জ্বলিলে আলোর প্রসারতা বৃদ্ধি পাইয়া থাকে কিন্তু আধুনিক বাতি স্তম্ভ গুলি এমন আকারে নির্মিত হইয়াছে যে আলোর প্রসারতা আরও যেন ক্ষীণ হইয়া অন্ধকারকে ডাকিয়া আনিয়াছে।
এই দেশ এই সমাজ উপযুক্ত স্তম্ভ স্বরূপ সুযোগ্য নেতৃত্ব কে অনুসন্ধান করিয়া আসিয়াছে যিনি আলোর উচ্চতা বৃদ্ধি করিয়া তাহার প্রসারণের মাধ্যমে সমাজের অন্ধকারকে দূরীভূত করিতে সমর্থ হইবেন।
তোমার মস্তকে মুকুট থাকিবে কি না ইহা অপেক্ষা তোমার জীবন ধারণের প্রয়োজন গুলি সহজে তোমার আয়ত্বে আসিতেছে কিনা বেশি গুরুত্বপূর্ণ।
তোমার পরনে কাপড় নাই, তোমার সন্তান ক্ষুদার জ্বালায় অস্থির হইয়া উঠিতেছে, তোমার ভবিষ্যতের স্বপ্ন অন্ধকারে মলিন হইয়া গিয়াছে তাহা হইলে তোমার নিকট স্বর্ণমুকুটের হিসাব কী প্রকারে গুরুত্ব পূর্ণ হইবে?
ঈশ্বরস্থানীয় ও বিন্দুবৎ!
ঈশ্বর কে দেখিয়াছি বলিলে অতিরঞ্জিত কথন হইতে পারে, অনুভব করিয়াছি বলিলে, আমার প্রতিকূলে সন্ধিগ্ধ মনুষ্য প্রাণের উপস্থিতির মাত্রা সামান্য কম হইলেও হইতে পারে। বিশ্ব লোকের কথা বলিবার মতন আমার জ্ঞানের পরিধি এত সুবিস্তৃত নহে। দেশের কথা বলিলে কিঞ্চিৎ স্বাচ্ছন্দ্য পাইতে পারি। যাহারা নেতা রূপ ধারণ করিয়া আমার দেশের ও সমাজের বিভিন্ন স্তরে প্রকট থাকিয়া সেবকের সুমহান আদর্শে বহুবিধ অদ্ভুদ প্রকার কর্মে প্রতি নিয়ত সবিশেষ ব্যস্ত হইয়া কোলাহলে, প্রচারের অতি উচ্চ নিনাদে আকাশ, বাতাস মুখরিত করিয়া তুলিতেছেন তাহারই ঈশ্বরস্থানীয়, যাহারা সেই মহান নেতৃত্বের জয়গানে ততোধিক মুখরিত হইয়া দিকবিদিক জ্ঞানশূন্য হইয়া তাণ্ডব নৃত্য করিতেছে তাহারও সম পরিমাণে ঈশ্বরস্থানীয়, যাহারা তাহাদের বিশেষ গুন কিম্বা নির্গুণ উপাদানের মহাযোগে সেই ঈশ্বর স্থানীয় দের আদেশ প্রাণ ভরিয়া নত মস্তকে, বিবেক বর্জিত হইয়া এবং বিশেষ বেতন লইয়া দেশ সেবার মহান কর্ম কাণ্ডের সর্ব বিষয়ে সজাগ দৃষ্টি পাত করিয়া চলিয়াছেন তাহারও ঈশ্বরস্থানীয় , যাহারা এত প্রকার ঈশ্বরের মহান ও সুউচ্চ ব্যাপক কর্মকাণ্ডের খরচ উঠাইতেছেন তাহারও ঈশ্বর স্থানীয় কিন্তু যে মনুষ্য প্রাণের জন্য, যাহাদের নিমিত্ত এত উৎসর্গ, এত প্রাণের আত্মাহুতি হইয়াছে, সেই সহস্র অযুত, সাধারণ, দরিদ্র, সহজ,সরল, প্রজা সম, মনুষ্য প্রাণ গুলি দিন দিন সেই বিশাল বহুরূপী ঈশ্বরস্থানীয় দের বিকট উল্লাসে, অন্তহীন নিষ্পেষণে, অবজ্ঞায়, তাচ্ছিল্যে ক্ষয় প্রাপ্ত হইতে হইতে আজ বিন্দুবৎ হইয়া গিয়াছে। এত কিছুর পরেও সেই প্রকৃত ঈশ্বরের প্রতি সম্পূর্ণ বিশ্বাস অটুট রাখিয়া, তাঁহার পবিত্র দর্শন ইচ্ছা রাখিয়া চলিয়াছি!

দৃষ্টির বাহিরে!
ভালোবাসার গভীরতা কোনোদিনও পরিমাপ করা সম্ভব নহে।যদি ভালবাসিয়া থাকো তবে অনুভব করিও, বাতায়নের বাহিরে উম্মুক্ত আকাশের দিকে একমনে তাহার কথা চিন্তা করিলে দেখিতে পাইবে সে তোমার এমন মহান, দিগন্ত প্রসারিত, সুগভীর ভালোবাসার রূপের অপেক্ষা আরও প্রসারিত, আরও গভীরতর, আরও অনেক বেশি দিগন্ত উন্মোচিত ভালোবাসিবার তরে তোমার নয়ন যুগলের সম্মুখে দাঁড়াইয়া রহিয়াছে!
দেশ শাসনের গুরুদায়িত্ব পালন করা যদি এত সহজ হইত তাহা হইলে দেশ নায়কের কোনো রূপ প্রয়োজন হইত কি? লক্ষ কোটি প্রজার মধ্যেই যে কেউ যখন খুশি দেশ নায়কের ভূমিকায় অবতীর্ণ হইতে পারিত। যাহার অনুভূতি র বিস্তার নাই, যাহার নিকটে সমস্যার সমাধান নাই, যাহার হৃদয় প্রজার দুঃখে ব্যথিত হইতে পারেনা, যাহার আনন্দ ভোগ বিলাসের মধ্যেই নিহিত রহিয়া গিয়াছে, যাহার দৃষ্টি দূর হইতে পর্যবেক্ষণ করিতে পারেনা, যাহার মধ্যে শিক্ষা, চেতনা, মানবিক গুণাবলীর অভাব পরিলক্ষিত হয়, যাহার লোভ অদ্যাপী প্রশমিত হইয়া নিবারিত হয় নাই, তাহার পক্ষে দেশ নায়ক হইয়া উঠা অসম্ভব! পেশী শক্তির প্রদর্শন কোনো যুগে কাহাকেও দেশ নায়কের আসনে প্রতিষ্ঠিত করিতে পারেনাই!
নতুন পৃথিবী
দেশের সমৃদ্ধি কেবল মাত্র নিজস্বতার সীমাবদ্ধতায় বিকশিত হইতে পারেনা। যাহা কিছু সৃষ্টি শীল, যাহা সুন্দর, যাহা অনুকরণীয়, যাহা উচিৎ, যাহা সত্য, যাহা শাশ্বত, যাহা অমলিন, যাহা উৎকর্ষতায় পরিপূর্ণ, যাহা শ্রেষ্ঠ তাহা যে সূত্রেই প্রাপ্ত হউক না কেন তাহা গ্রহণযোগ্য এবং তাহার ব্যবহার দেশ গঠনে এবং সমৃদ্ধি আনয়নে অপরিহার্য। এমন কোনো একটি দেশের সন্ধান সমগ্র বিশ্ব সংসারে বিরল হইতে পারে যে দেশ কোনকালেই অপর কোন দেশ হইতে পরম উপাদেয় কোনো বিষয় গ্রহণ ও স্বীকার করে নাই। সেই দেশ তত পরিমাণে সমৃদ্ধ ও উন্নত, যে দেশ অন্য অন্য দেশ বা ভূখণ্ড হইতে সঠিক, সত্য, উচিৎ উপাদানের সংগ্রহ করিতে পারিয়াছে এবং তাহাদের উপযুক্ত রূপে ব্যবহার করিতে সক্ষম হইয়াছে।
অনুসন্ধিৎসু মনুষ্য মন সর্বক্ষণ নূতন নূতন বিষয়ের অন্বেষণ করিতে থাকে। এই রূপ মনের অভ্যন্তরে জিজ্ঞাসা বহুল পরিমাণে উপস্থিত থাকে। এই প্রকার জিজ্ঞাসা সেই মনকে ক্রমশঃ বিষয়ের প্রতি মনোযোগী হইতে সাহায্য করিয়া থাকে। দেশ নায়কের মনে সেই অদম্য জিজ্ঞাসা পুঞ্জীভূত থাকে যাহা উপযুক্ত পরিবেশ পাইলে ধীরে ধীরে নিজেকে প্রকাশিত করিয়া লয়। সেই রূপ ইচ্ছা হইতেই মুহুর্মুহু নূতন সৃষ্টির উদ্ভব হয় এবং তাহার অভিমুখ সমাজ কল্যাণেই নিয়োজিত হইয়া থাকে। যোগ্য দেশ নায়ক খাঁটি স্বর্ণ হইতে কোনো অংশে কম নহে। ইতিহাসের পৃষ্ঠা গুলি এই প্রকার মহান দেশ নায়কের বিবরণ বহু প্রকারে বর্ণিত করিয়াছে এবং তাহার প্রকাশ গুলি সমগ্র দেশ ও বিশ্ব সংসারে লক্ষ কোটি মানব মন কে উদ্বেলিত ও অনুপ্রাণিত করিয়াছে।
দেশ নায়কের স্বরূপ!
দেশ নায়ক কেমন হইবে, কী বলিবে, কী করিবে, কেমন রূপে করিবে সেই প্রশ্ন গুলি সর্বদাই অনুসারী মনের ভিতরে অনুরণিত হইবে। সেই প্রাঞ্জল অথচ প্রকৃত, সেই সহজ অথচ রহস্যপূর্ণ, সেই মহান অথচ সাধারণ, সেই মানবিক অথচ ঐশ্বরীক গুণের অধিকারী, সেই ঋজু অথচ নমনীয় এই প্রকার বিবিধ গুণের সমন্বয়ে গঠিত এক অসাধারণ চরিত্রের প্রকাশ ঘটিবে দেশ নায়কের আবির্ভাবে!
এমনও ঘটনা দৃশ্যমান হইয়াছে যে দেশের মুক্তির প্রসঙ্গে দেশ নায়কের নিঃস্বার্থ সংগ্রাম ও ত্যাগ সমগ্র দেশ বাসীকে উদ্বুদ্ধ করিয়াছে। দিন রাত এক করিয়া সেই দেশ নায়ক সংগ্রামী মনোভাবের অদম্য সাহসে উদ্দীপ্ত হইয়াছেন এবং প্রাণপণে দেশ মাতৃকার হৃত সন্মান পুনরুদ্ধারের প্রচেষ্টায় আত্মনিয়োগ করিয়াছেন বিনিময়ে তাহার পক্ষে দেশ বাসীর স্বতস্ফূর্ত যোগদান প্রার্থনা করিয়াছেন।
দেশ এক ভূখণ্ড হইতে পারে, তাহার সীমানা ভৌগোলিক হইতে পারে কিন্তু দেশ নায়কের নেতৃত্ব ও উপস্থিতি আবশ্যিক রূপে ঐতিহাসিক হইবে। দেশ মাতৃকার প্রতি সম্মান প্রদর্শন কর্তব্য পালনের নিমিত্ত সাধনা প্রদত্ত হইবে। দেশ বাসীর স্বতস্ফূর্ত যোগদান ঐকান্তিক হইবে, স্বার্থ ত্যাগ, তিতিক্ষা, দেশ ভক্তির উপাদানের মাত্রা স্বরূপ হইবে। দেশ গঠন কী প্রকারে গুরুত্ব পূর্ণ হইয়া উঠিবে তাহার অভিমুখ নির্ধারিত হইবে দেশ নায়কের নিজস্বতা এবং দেশ বাসীর একাত্মতা র ঐক্যবদ্ধ হার্দিক বন্ধনে!
কোনো প্রাণ মুহূর্তের নিমিত্ত অনাহারে অর্ধাহারে পীড়িত হইবে না, অন্ন, বস্ত্র ও বাসস্থান সকলের সাধ্যের সীমায় স্থিত হইবে। রোগের উপশম ঘটিবে, বিনা চিকিৎসায় দেশ বাসীর জীবন হানি হইবেনা, মায়া, মমতা, স্নেহ ভালবাসা দেশের সর্বত্র বিরাজমান হইবে, রাজনৈতিক অস্থিরতা সাধারণ প্রাণকে যেন বহুবিভক্ত না করিয়া থাকে, ধর্মের সঠিক কথা, সত্য প্রচার যেন মানব মনের ভিতরে স্থান গ্রহণ করিয়া মনুষ্য জীবন কে পরিপূর্ণ করিয়া অনাবিল আনন্দে ভরিয়া দেয় সেই প্রচেষ্টার সূত্রপাত হইবে। দেশ ভক্তি ঈশ্বর ভক্তির সমতুল্য হইবে।

দেশপ্রাণ, দেশদ্রোহী ও আদর্শ দেশ নায়ক!
যাহা সত্য, সুন্দর এবং সকল প্রাণের মঙ্গলের উপযোগী তাহার পক্ষে সর্বদাই অনুসারী হইয়া মাতৃভূমিকে সমৃদ্ধ করিবার জন্য উৎসাহী ও আগ্রহী হইতে হইবে। ধনী দরিদ্রের বিভেদ সৃষ্টি তো সর্বাপেক্ষা বৃহৎ অন্যায়, পরিশ্রমী সাধারণ কৃষক ও শ্রমিক দারিদ্র্যের অন্ধকারে নিমজ্জিত হইয়া আছে অথচ অলস, স্বার্থ পর, সুবিধাভোগী প্রতারকের দল অতি স্বাচ্ছন্দ্যে, সুখে মহানন্দে জীবন ধারণ করিয়া দিনের পর দিন ধনী হইতে আরো ধনী হইয়া উঠিতেছে, ইহাই তো সর্ব নিকৃষ্ট বিচার। যাহারা লড়িল, প্রাণ দিল, হৃদয় শোনিতে মাতৃভূমিকে রঞ্জিত করিল তাহারা বিস্মৃত হইয়া গেলো আর যাহারা হটাৎ করিয়া পিছন হইতে নিজ স্বার্থের নিমিত্ত, ভোগের জন্য, শুধু মাত্র নিজের সুখের জন্য চিরকাল বাঁচিয়া আসিয়াছে, কোনো কালে বিন্দু মাত্র দেশের কোনো কাজে লাগেনাই তাহারা ছল, চাতুরী কে আশ্রয় করিয়া ক্ষমতার শীর্ষে অধিষ্ঠান করিয়া প্রজা বর্গ কে নানাবিধ উপায়ে, কৌশলে যাতনা যন্ত্রে পিষ্ট করিতে লাগিল। এই দৃশ্যের অবতারণা যে কোনো বিবেকবান, শুভ বুদ্ধির অধিকারী, নির্ভীক, নিরপেক্ষ, দেশ ভক্ত মনুষ্য প্রাণকে প্রবল ও চরম পীড়াদায়ক, অসহনীয় অবস্থানে নিক্ষেপ করিয়া বিচলিত ও চঞ্চল করিয়া তুলিবে।
পুরুষোত্তম শ্রী রাম তাঁহার রাজ্য, ক্ষমতা, বিলাস, পরিবার, সুখ, স্বাচ্ছন্দ্য সব কিছু, সব সুবিধা পরিত্যাগ করিয়া বনবাসী হইলেন পিতার সম্মান রক্ষার্থে, কর্তব্য পালনের নিমিত্ত। সেই অনন্ত ত্যাগ, সেই সুমহান আদর্শ, সেই প্রজা বৎসল ঐশ্বরিক চরিত্র সর্ব গুণাবলী লইয়া সমস্ত প্রকার কার্যে অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত স্বরূপ প্রতিষ্ঠিত হইতে পারিত। সেই অতি সুমহান আদর্শের অবতার শ্রী পুরুষোত্তম কে যদি সিংহাসনে আসীন এবং পদাধিকারী কোনো প্রকার শাসকশ্রেণী কোনো যুগেও তাহাদের কর্মে, চিন্তায়, ভাবনায় অনুসরণ করিত তাহা হইলে ইহার অপেক্ষা আরও উত্তম, আরও মঙ্গলকর কী হইতে পারিত?
The New World (Natun Prithibi)
দেশ নায়কের স্বপ্ন প্রজা হিতের মধ্যে নিবিড় তর হইয়া সর্ব লোকে, সর্ব স্থানে প্রকাশিত হইয়া উঠিবে। যে প্রকার শাসনে জনকল্যাণ প্রতিষ্ঠিত হয়না, যে নায়কের সিংহাসনে সাধারণ মানব প্রাণের ব্যথা উচ্চারিত ও অনুভূত হয়না, যে নেতৃত্বের হৃদয় সমস্যার সমাধান কল্পে জাগ্রত হইয়া উঠে না তাহার বিবরণ ও সংজ্ঞা কোনরূপেই কোনো প্রকারেই দেশ নায়কের হইতে পারে না। ইতিহাসের পৃষ্ঠা গুলি তাহার কাহিনী স্বর্ণাক্ষরে লিখিতে পারে না। ক্ষমতার অধিকারী হইয়া, তাহার অকপট, বহুল অপব্যবহার করিয়া, জন সাধারণ কে তুচ্ছ জ্ঞান করিয়া, যথেচ্ছ মিথ্যাচারে শুধু মাত্র নিজের ইচ্ছা ও সুখের কারণ গুলিকে পূর্ণ করা যাইতে পারে কিন্তু তাহা অচিরেই বিস্মৃত হইবে তাহার কারণ নিজের সুখের নিমিত্ত ভোগের সাধনা দেশ নায়কের শোভা হইতে পারে না।
দেশ নায়কের অবস্থান!
জয় ধ্বনি করিলেই ঈশ্বরের অস্তিত্ব প্রতিষ্ঠা হয়না। প্রকৃত সাধক ও পুণ্য অন্বেষণে আগ্রহী, তপস্যা কারী কোলাহল ও প্রচার হইতে সর্বদাই দূরে অবস্থান করিয়া থাকেন। মহাবীর হইতে গৌতম বুদ্ধ সেই পথেই জ্ঞান, অভিজ্ঞতা ও সত্যের সন্ধান করিয়া ছিলেন। অস্ত্র সংবরণ করিয়া ক্ষমতার রাজনীতি পরিত্যাগ করিয়া প্রজার দুঃখ অনুধাবন করিয়া, নিজ কৃত কর্মের কারণে অনুশোচনায় নিরন্তর দগ্ধ হইয়া অশোক শ্রেষ্টত্বের শিরোপা লাভ করিয়াছিলেন। দান ধর্মের মাধ্যমে হর্ষবর্ধন রাজা হইতে সেবক হইলেন এবং অগণিত সাধারণ প্রজার দুঃখ দূর করিতে দান যজ্ঞের আয়োজন করিয়া নিরহঙ্কার হইয়া সাধারণ জীবন যাপন করিয়া অতি অসাধারণ কৃতিত্বের পরিচয় প্রতিফলিত করিয়া সাধারণ প্রজার হৃদয়ে সর্ব কালের জন্য প্রতিষ্ঠিত হইয়া গেলেন।
ধৃতরাষ্ট্র প্রবল ক্ষমতার শীর্ষে অবস্থান করিয়াও ততোধিক মুখরিত ও ক্ষমতার দম্ভে আবিষ্ট শত পুত্রের পিতা হইয়াও সিংহাসনের মর্যাদা রক্ষায় ব্যর্থ হইয়াছিলেন। ইতিহাস তাঁহাকে যথেষ্ট সুযোগ প্রদান করিয়াছিল কিন্তু অহঙ্কার, ক্ষমতার দম্ভে উন্মত্ত হইয়া ধর্মের পথ হইতে বিচ্যূত হইয়া সকল অস্তিত্ব, সম্মান, প্রাণ, শত পুত্র সহ নিজের প্রাণ ও ভবিষ্যত বিনষ্ট করিয়া ছিলেন।
The New World (Natun Prithibi)
ঐতিহাসিক ও বর্তমান সময়!
ইতিহাস এই প্রকার বহু ঘটনার জীবন্ত সাক্ষী হইয়া আজও বাঁচিয়া আছে। ইতিহাস ও সময় সর্বক্ষণ সজাগ রহিয়া সকল কিছুর উত্থান পতন প্রত্যক্ষ করিয়া থাকে, তাহাদের নীরবতা বোধগম্য হইয়া উঠে সেই সময়, সেই অন্তিম মুহূর্তে যখন সেই ভাগ্যহীন চরিত্র ধ্বংসের অন্ধকারে নিমজ্জিত হইবার উপক্রম করে এবং নিজের মৃত্যু কে ধীর গতিতে নিজের পানে অগ্রসর হইতে দেখিয়াও প্রতিরোধ হীন, শক্তি হীন হইয়া অপলক দৃষ্টিতে কেবল মাত্র প্রত্যক্ষ করিতে পারে এবং তাহারই কর্ণে সময় ও ইতিহাস নামক সেই প্রবল মহান শক্তিদ্বয়ের বিচারের রায় ঘোষিত হইতে থাকে। সেই অন্তিম লগ্নে নির্ধারিত হইয়া যায় ইতিহাস ও সময় তাহাকে দেশ নায়কের মর্যাদায় অধিষ্ঠিত করিল না বিস্মৃতির অতলে নিমজ্জিত করিল। যুগ যুগ ধরিয়া এই ভাবেই বিচার চলিয়া আসিতেছে। ক্ষমতার রাজনীতি, দম্ভের নির্ঘোষ, অত্যাচার, অনাচার, অন্যায় সর্ব অপকর্মের বিচার হইবেই হইবে শুধু সময়ের অপেক্ষা।
সত্য ও সুন্দর, গরিমা ও সুশাসন!
রাজার গরিমা প্রজার দুঃখে বৃদ্ধি পাইতে পারে না। প্রজা কাঁদিবে কিন্তু রাজা হাসিবে এই বিধান সুশাসনে কোনো কালেই ছিলনা। পুরুষোত্তম শ্রী রাম তাঁহার মহান রাজত্বে প্রজার মঙ্গলকেই অগ্রাধিকার দিয়াছিলেন। তাঁহার আদর্শ, জীবন শৈলী, কর্তব্য পালন, অনুভব, দূরদৃষ্টি, ন্যায় সর্ব কালের সর্ব জনের অনুকরণীয়। তাঁহার পবিত্র নাম ধ্বনি কোনকালেই প্রজাকে ভয়ভীত করিয়া তুলে নাই। অন্ধ, রোগগ্রস্ত, পাপী, বিপথগামী, ভাগ্যহীন, নারী, পুরুষ, শিশু, মনুষ্য, জীব, প্রাণী, এমনকি উদ্ভিদ ও তাঁহার পবিত্র রাজত্বে ভালোবাসা, করুণা, সুরক্ষা, শান্তি, সন্মান, সহানুভূতি, আনন্দ লাভ হইতে মুহূর্তের নিমিত্ত বঞ্চিত হয় নাই। অনাহার, দারিদ্র্য, বঞ্চনা, নির্যাতন, অত্যাচার, অপমান, অন্যায় এই সকল কিছুর বিরুদ্ধেই তো অগ্রসর হইয়া পুরুষোত্তম শ্রী রাম তাঁহার হৃদয় মাঝে অগণিত দুর্বল, অসহায় সম্বলহীন প্রাণ কে আশ্রয় দিয়াছিলেন, তাহাদের রক্ষা করিয়া ছিলেন। তাঁহার নামের পবিত্র ধ্বনি প্রজার হৃদয়কে আনন্দের প্রাণ ধারায় সিক্ত করিত। ইহাই তো সর্ব সত্য, ইহার অপেক্ষা করিতেই তো মানব মনের ভিতরে আনন্দের স্রোত বহিয়া যায়।
স্বপ্ন পূরণ!
দেশ নায়কের স্বপ্ন তো স্বাভাবিক! এই দৃশ্যের অবতারণা মানব মনের ভিতরে সঠিক রূপেই তো স্থান পাইয়াছে। দেশ নায়ক তাঁহার মহান উপস্থিতি নিশ্চিত করিবেন, সমাধান করিবেন সকল সমস্যার, সাধারণ প্রজার, মনুষ্য প্রাণের দুঃখ মোচন করিবেন, যে ভাবে তিনি আসিয়াছিলেন, সকল মানব প্রাণকে সমৃদ্ধি প্রদান করিয়া ছিলেন, তাহাদের দুঃখে কাতর হইয়া ছিলেন, তাহাদের নিমিত্ত তাদের মঙ্গলের জন্য সিংহাসন, রাজ্য, সুখ, সর্ব স্বাচ্ছন্দ্য অকাতরে পরিত্যাগ করিয়া প্রজার কারণে, প্রজার সঙ্গে, প্রজা গৃহেই পদার্পণ করিয়া, প্রজা কেই হৃদয়ে স্থান দিয়াছিলেন, সেই যুগ পুরুষ, সেই সুমহান দেশ নায়কের স্বপ্ন আমি সামান্য প্রজা হইয়া যেমন দেখিয়াছিলাম তেমনই দেখিব। প্রাণ বন্ত ইতিহাস তাহার প্রবাহে সময় কে সাক্ষী রাখিয়া আমার সেই স্বপ্ন পূরণ করিবেই করিবে!
মূল গ্রন্থ,” দেশ নায়কের স্বপ্ন!” হইতে সংগৃহীত। লেখক সুব্রত মুখার্জী।
The New World (Natun Prithibi)
©️ Subratagolapi
Wonderful sir..
LikeLike
Wonderful
LikeLike